ABOUT

KISHALAYA SCHOOL

সমাজে কিছু একটা আলাদা করার স্বপ্ন চোখ নিয়ে এক তরুণী পা রাখলেন মালবাজারে। কবিতা, আবৃত্তি, সঞ্চালনা, নাটক এবং আরও অনেক সংস্কৃতি ও সামাজিক অনুষ্ঠান এই ধরণের অনেক কিছুর সাথে সে যুক্ত থাকতে ভালবাসতো।
খুব কম বয়সে বিবাহ হয় তাঁর। ছোট্ট সুন্দর শহর মালবাজারে তাঁর আসাটা বিবাহের পর। তিনি চিরকালই চাইতেন স্বাবলম্বী হতে। সমাজকে আলোকিত করে তুলতে, জ্ঞানের সাহায্যে, সংস্কৃতির সাহায্যে। তিনি উপলব্ধি করলেন যে এই কাজ করার সবথেকে সঠিক উপায় হলো শিক্ষাদান। স্বামীকে সে কথা বলতেই তিনিও উৎসাহ দেন তাঁকে, পাশে দাঁড়ান তাঁর এর স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করাতে। অবশেষে ১৯৮৭ সালে জন্ম হয় কিশলয় শিশু বিদ্যালয়ের।
সেদিনের সেই ছোট্ট স্কুলটি শুরু হয়েছিল ১০ জনেরও কম শিক্ষার্থী দিয়ে, যা আজকে দাঁড়িয়েছে ৪০০ জনেরও বেশি। এই উত্তরণ মোটেও সহজ ছিল না; নানা রকম বাধা, সমস্যা এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা এই সব বাধা-বিপত্তিকে অতিক্রম করেছেন নিজের চেষ্টায়, কখনও লক্ষ্যচ্যূত হন নি। গড়ে তুলেছেন কিশলয়কে ঘিরে অনেক অনেক সংখ্যক মানুষের আস্থা আর বিশ্বাসের বলয়, যা ঘিরে আছে স্কুলটিকে। কিশলয় মানুষের মনে গড়ে তুলেছে আস্থার ভিত, যার জন্য সর্বোচ্চ সংখ্যক অভিভাবকেরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে বেছে নিয়েছেন তাঁদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য।

কিশলয়ের পরিচিতি শুধু মালবাজার শহরেই নয়, আশেপাশের গ্রাম-শহর মিলিয়ে পুরো অঞ্চলেই তার খ্যাতি। ত্রিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কিশলয় সহস্রাধিক শিশুকে গড়ে তুলেছে শিক্ষা প্রদান করে। এখানে শিক্ষার শ্রেণী শুরু হয় Pre-KG থেকে KG1, KG2 হয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণী অবধি। নানা রকমের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অয়োজন করেছে স্কুলের সংগঠন। নানান নামকরা গায়ক, আবৃত্তিকার, নৃত্যশিল্পীরা কিশলয়ের মঞ্চে অনুষ্ঠান করেছেন। কিশলয় এক গর্বিত বাংলা মাধ্যম স্কুল ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই। কিশলয় প্রমাণ করতে চায় যে প্রতিটি শিশুর সমান অধিকার আছে উন্নততর শিক্ষা পাওয়ার। আজ কিশলয় আগামী দিনের কান্ডারীদের গড়ে তুলছে। আমরা গর্ব অনুভব করি যখন স্কুলের কোন ছেলে বা মেয়ে বড় হয়ে কোন সাফল্য পায় জীবনে, মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠে। তাদের সাফল্য কিশলয়ের লক্ষ্যপূরণ। তাদের জীবনে চলার পথে কিশলয়ের শুভেচ্ছা সর্বদা রইবে।